বিস্ময়কর ক্ষমতা আশিকের…


নিউজ সমাহার প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৬, ২০২৩, ১২:৫১ অপরাহ্ন /
বিস্ময়কর ক্ষমতা আশিকের…

আশিক নামে ব্যতিক্রমী এক যুবকের দেখা মিলেছে ফেনীর পরশুরামে। প্রাথমিক পর্যন্ত পড়ালেখা করলেও তাঁর অবিশ্বাস্য প্রতিভা দেখে স্থানীয়রা রীতিমতো বিস্মিত। আশিক আকাশের দিকে তাকিয়ে শুধু ঘণ্টা নয়, মিনিট, সেকেন্ডসহ সঠিক সময় বলে দিতে পারেন। ১ হাজার পর্যন্ত যে কোনো নামতা বলতে পারেন নির্ভুলভাবে…

ফেনীর পরশুরামে আশিক নামে ব্যতিক্রমী এক যুবকের দেখা মিলেছে। যে কোনো রকম প্রযুক্তিগত সহায়তা ছাড়া সঠিক সময় বলে দিতে পারেন। এ ছাড়াও আশিক ১ থেকে ১ হাজারের মধ্যে যে কোনো নামতা ক্যালকুলেটর কিংবা খাতা কলমের হিসাব ছাড়াই অনর্গল বলে দিতে পারেন। স্থানীয়দের কাছে তিনি ‘সময়ের জাদুকর’ হিসেবে পরিচিত।

২৪ বছরের এ যুবকের পুরো নাম ইসমাইল হোসেন আশিক। তিনি পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের মো. ইব্রাহিম ভূঞার ছেলে। আশিকরা এক ভাই ও দুই বোন। তিনি পরিবারের সবার বড় সন্তান। ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর আশিকের বাবা মারা যান।

প্রাথমিক পর্যন্ত পড়ালেখা করলেও তাঁর অবিশ্বাস্য প্রতিভা দেখে স্থানীয়রা রীতিমতো বিস্মিত। আশিক আকাশের দিকে তাকিয়ে শুধু ঘণ্টা নয়, মিনিট ও সেকেন্ডসহ সঠিক সময় বলে দিতে পারেন। রাতেও চাঁদ দেখে সময় বলতে পারেন তিনি। বুধবার সরেজমিন গিয়ে দিনের একাধিক সময় আশিককে বলতে বললে তিনি হুবহু সময় বলে দিয়েছেন। এ ছাড়াও ৯৭, ৭৬, ৩৩১ সহ নানা অঙ্কের নামতা বললে আশিক অনর্গল বলে দিয়েছেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের গাণিতিক খেলায়ও তিনি অসম্ভব পারদর্শী। তাঁকে এসব খেলায় এখন পর্যন্ত হারাতে পারেনি কেউ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আবদুর রহিম বলেন, আশিক শুধু সময় নয়; তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে ঘণ্টা, মিনিট এমনকি সেকেন্ড পর্যন্ত হুবহু বলতে পারেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য একইভাবে তিনি চাঁদ দেখেও সময় বলতে পারেন।

২৪ বছরের এ যুবকের পুরো নাম ইসমাইল হোসেন আশিক। তাঁর মা ফিরোজা বেগম বলেন, ১৯৯৯ সালে আশিকের জন্ম হয়। ১০-১২ বছর বয়স হলে তাঁর হঠাৎ জ্বর ওঠে। প্রায় এক সপ্তাহ অচেতন অবস্থায় ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। কিন্তু তার পর থেকে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। এরপর সে আর পড়ালেখা করেনি…

ইসমাইল হোসেনের মা ফিরোজা বেগম বলেন, ১৯৯৯ সালে আশিকের জন্ম হয়। ১০-১২ বছর বয়স হলে তাঁর হঠাৎ জ্বর ওঠে। প্রায় এক সপ্তাহ অচেতন অবস্থায় ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। কিন্তু তাঁর পর থেকে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। এরপর সে আর পড়ালেখা করেনি। আশিকের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে সংসারে অভাব অনটনের কারণে তাঁর চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু তাঁর অবাক কাজকর্ম দেখে মানুষ প্রতিদিন তাঁকে দেখতে আসেন। তাঁকে বিভিন্ন নামতা জিজ্ঞেস করেন। তিনি এক থেকে ১ হাজার পর্যন্ত সব ধরনের নামতা জানেন। এ ছাড়াও আকাশের দিকে তাকিয়ে সময় বলতে পারে।

পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল বলেন, ‘আশিকের অলৌকিক কিছু প্রতিভা রয়েছে। তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে শুধু ঘণ্টা নয় মিনিট ও সেকেন্ডও বলে দিতে পারেন। এমন অলৌকিক মানুষ আমি আর দেখিনি।’