কাপাসিয়ায় এক ছাত্রীকে বেধরক মারধর করে মিমাংসা চাইলেন স্কুলের পরিচালক ও মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী।


admin প্রকাশের সময় : জুন ২, ২০২৩, ৮:৩৩ অপরাহ্ন /
কাপাসিয়ায় এক ছাত্রীকে বেধরক মারধর করে মিমাংসা চাইলেন স্কুলের পরিচালক ও মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী।

বেলায়েত হোসেন শামীম কাপাসিয়া: শ্রেণীকক্ষে দুষ্টমি করার অভিযোগ এনে বেধরক মারধর করে ছাত্রীকে আহত করে অভিভাবকদের অভিযোগ ও সামাজিক চাপে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছেন একটি স্কুলের পরিচালক ও আ’লীগ নেত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার আমরাইদ এলাকার গাজীপুর ক্যাডেট একাডেমি স্কুলে।

বুধবার বিকেলে মিমাংসার বিষয়টি  আমাদের অর্থনীতিকে নিশ্চিত করেছেন স্কুলটির পরিচালক ও জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের যুগ্ম সম্পাদক উম্মে কুলসুম শিল্পী।মারধরের শিকার সিদরাতুলমুনতাহা মীম ওই স্কুলের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের বেলাশী গ্রামের মফিজুল হকের মেয়ে।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি ও নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর জেঠা মোঃ মুঞ্জুরুল হকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার সকালে ক্লাসে কোনো একটি বিষয় নিয়ে হাসি দেয় কয়েকজন ছাত্রী। এসময় ক্লাস শিক্ষক তাদের শাসন করে। বিষয়টি সিসি ক্যামেরায় দেখে ওই স্কুলের পরিচালক শিল্পী তেড়ে আসেন। প্রথমে প্লাস্টিকের চেয়ার ও পরে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকেন। এতে মীমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক জখম হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে বলে জানান মারধরের শিকার মীমের পরিবার।

মারধরের কথা স্বীকার করে জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য উম্মে কুলসুম শিল্পী বলেন, দুষ্টমির জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এ যুগের মেয়েরা বেশী অন্যরকম। তারপরও আহত শিক্ষার্থীকে আামদের খরচে  চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন মিমাংসার পথে। এটা নিয়ে আর নিউজ দরকার নেই”। নিউজ বন্ধ  রাখার আমন্ত্রণ জানিয়ে চায়ের দাওয়াত দেন অভিযুক্ত ওই নেত্রী।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম  বলেন, এ ঘটনা অবগত হয়েছি। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। তিনিও অবগত আছেন। বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত উম্মে কুলসুম শিল্পীকে ফোন দিলে তিনি জেলা পরিষদের মিটিয়ে আছেন বলে জানান। তাই,ওই ছাত্রীর অভিভাবক অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম গোলাম মোর্শেদ খান  বলেন, বিষয়টি খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। আমি ছবি দেখেছি। শিক্ষা কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যেই ছাত্রীর পরিবার ও স্কুলের শিক্ষকদের সাথে কথা বলতে বলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।