Visits: 1

শরীরে অ্যানার্জি পেতে সকালে পাতে রাখতে হবে পুষ্টিকর খাবার। তবে বর্তমানে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠেই কাজে বেরিয়ে পড়েন নাশতা না করেই। সকালে নাশতা না করার ফলে অজান্তেই বাড়িয়ে দিচ্ছে একাধিক রোগের ঝুঁকি। এমনটিই জানাচ্ছেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা।

বিভিন্ন রোগের ঝুঁকির পাশাপাশি বেড়ে যেতে পারে শরীরের ওজন। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত সকালের নাশতা খান তাদের তুলনায় যারা খান না তাদের ওজন ও স্থূলতার হারও বেশি। এমনকি অন্যদের চেয়ে তাদের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও বেশি।

বিশেষজ্ঞরা জানান, যারা সকালে পুষ্টিকর নাশতা গ্রহণ করেন তাদের শরীরে ফাইবার ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট লোড হয়, যা সারাদিন তাদের অ্যানার্জি দেয়। যারা ধূমপান, অ্যালকোহল গ্রহণ ও কম শরীরচর্চা করেন তাদের মধ্যেই সকালের নাশতা না করার প্রবণতা বেশি। এসব বদঅভ্যাসসহ সকালে কিছু না খাওয়ার ফলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়।

ডায়াবেটিস: সকালে নাশতা না করলে বাড়ে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। সারারাত ঘুমিয়ে থাকার পর সকাল পর নাশতা করার অর্থ হলো অনেকটা রোজা ভাঙার মতো। সকালে খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে গ্লাইকোজেন পুনরুদ্ধার ও ইনসুলিনের মাত্রা স্থিতিশীল করতে সহায়তা করে।

আর সকালে গ্লুকোজের মাত্রা পূরণ না করলে অতিরিক্ত ক্ষুধার্ত, খিটখিটে মেজাজ ও ক্লান্তবোধ করবেন। সকালের নাশতা না করলে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই এই লক্ষণগুলো দেখা দেয়।

হৃদরোগ: নিয়মিত সকালের খাবার বাদ দিলে ওজন বেড়ে যায়। একই সঙ্গে এথেরোস্ক্লেরোসিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও উচ্চ কোলেস্টেরল হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

১৬ বছরের দীর্ঘ এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের মধ্যে যারা প্রতিদিন সকালের নাস্তা বাদ দেন তাদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার বা করোনারি হার্ট ডিজিজ হওয়ার ঝুঁকি ২৭ শতাংশ বেশি ছিল।

ডিমনেশিয়া: সকালের খাবার না খাওয়ার অভ্যাস পরবর্তী সময়ে বাড়াতে পারে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি। স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, ভাবনা-চিন্তার অসুবিধা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অক্ষমতার মতো একাধিক সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ডিমনেশিয়া বলে। সূত্র: মানবকণ্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *