পটুয়াখালীর দুমকিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৪টি পরিবারের চলাচলের রাস্তায় বেড়া দিয়ে চারদিন ধরে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে।
এতে ওই ৪ পরিবারের ঈদ আনন্দে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। গত ১৮ এপ্রিল উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দিয়েও এখন পর্যন্ত অবরুদ্ধদশা থেকে মুক্তি মেলেনি ওই ৪ পরিবারের।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চরগরবদী এলাকার বাসিন্দা নাসির মুন্সি, জাহাঙ্গীর মুন্সি ও সোহেল মুন্সি এবং বাবুল হাং, সোবহান হাওলাদার, দুলাল হাওলাদার ও মনির হাওলাদারের বংশ আলাদা হলেও একই বাড়ি বসবাস করেছেন।
প্রায় অর্ধশত বছর ধরে সবার হাঁটাচলার জন্য বাড়ির মাঝখানে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের দেয়া ইটের সলিং করা রাস্তা। হঠাৎ করে গত মঙ্গলবার রাস্তার পাশে একটি গাবগাছ ভাঙাকে কেন্দ্র করে নাসির মুন্সি ও বাবুলের মধ্যে ঝগড়াঝাটির সৃষ্টি হয়।
তার রেশ ধরে নাসির বাড়ির মাঝখানে চলাচলের রাস্তায় বেড়া দিয়ে বাবুলের পরিবারকে আটকে রাখে।বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে তাত্ক্ষণিক বাবুল একটি লিখিত দেন। কিন্তু ঘটনার চারদিন অতিবাহিত হলেও অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্তি মেলেনি ওই পরিবারগুলোর।
অবরুদ্ধ বাবুলের ছেলে অলি যুগান্তরকে জানান, শনিবার ঈদ। আমাদের চারদিন ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।বাচ্চাগুলো কাঁদছে। ঈদের বাজারটা পর্যন্ত করতে পারিনি এখনো। আমরা এই অবরুদ্ধ থেকে মুক্তি চাই।
অভিযুক্ত নাসির মুন্সি বলেন, এতদিন আমাগো জায়গা দিয়ে হাটতে দিছি, এখন আর দিমুনা দেখি কে কী করতে পারে।
মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান শিকদার বলেন, বিষয়টি আমার নলেজে আছে তবে একেবারে অন্যায় ভাবে বেড়া দিয়ে পরিবারগুলোকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। দ্রুত আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছি অল্প সময়ের মধ্যে সরজমিনে গিয়ে সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার জন্য। সূত্র: যুগান্তর
আপনার মতামত লিখুন :