দেশাত্ববোধের উদ্দীপনাকে হৃদয়ে লালন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে গ্রামীণ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস ২০২২ পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে গ্রামীণ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আলোচনাসভা ও এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল মজিদ। একে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান এবং গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রহিম খাঁন। এছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের সব কমকর্তা ও কর্মচারী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংগীত ও পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে সবাই মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।
পরে মহান বিজয় দিবসের ওপর আলোচনা, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথি পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তার বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণের কারণে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছে এবং বাংলাদেশের জনগণ আজ প্রকৃত বিজয়ের স্বাদ পেতে চলেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ পাশের দেশের তুলনায় অনেক সূচকে এগিয়ে আছে। দেশ বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্বি পেয়েছে।
সম্মানিত অতিথি অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস কঠিন যুদ্ধের পরে বাঙালি বিজয় অর্জন করেছে। এই দিনটি বাঙালির জন্য অনেক আনন্দদায়ক এবং গৌরবময় একটি দিন।
গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল মজিদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বাঙালির বুকে স্বাধীনতার বীজমন্ত্র বোনা হয়ে যায় সেই দিনই। সেদিন থেকে আর বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা যায়নি।
গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রহিম খাঁন বলেন, আমাদের বিজয় সেদিনই সফল হবে যেদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কাজে লাগিয়ে আমরা সবাই দেশ গড়ায় আত্মনিয়োগ করে সবার মুখে হাসি ফুটাতে পারব। আসুন আজ এই বিজয় উদযাপনের মাহেন্দ্রক্ষণে দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের শপথ গ্রহণ করি।
আপনার মতামত লিখুন :